টেক রিভিউ

সবচেয়ে কম দামে সেরা স্মার্টওয়াচ ২০২০

 

স্মার্টওয়াচ ভালো লাগে না এমন লোকও কি আজকাল খুজে পাওয়া যায়? না সত্যি বলতে এমন লোক খুজে পাওয়া যায় না। কারন এটি তে রয়েছে ওয়াচ বা ঘড়ি সাথে স্মার্ট তার মনে আপনার জীবনকে আরও সহজ ও সুন্দর করে তুলে। তাই আজকে আপনাদের জন্য কম দামে সেরা দুইটা স্মার্টওয়াচের কথা বলব যেগুলো ব্যবহারের ফলে আপনার লাইফটাকে আরেকটু সিম্পল করে তুলা। তাই আপনি যদি একজন স্মার্টওয়াচ প্রেমী হন কিংবা ভাবছেন কম বাজেটের মধ্যে ভালো একটা স্মার্টওয়াচ নিব তাদের জন্য আজকে দারুন একটা স্মার্টওয়াচ নিয়ে আপনাদের সাথে কথা বলব। তো চলুন যেনে নিই কোন স্মার্টওয়াচটি রয়েছে এবং কি রয়েছে এতে –

 

NO.1 DTX 

 

চলুন জেনে নিই এটিতে কি কি সুবিধা রয়েছে এবং দেখতে কেমন?

 

  • এর সবচেয়ে সেরা ভালো দিক হল এর ডিসপ্লে। এতে রয়েছে ৪২০×৪৮৫ রেজুলেশন এর এইচডি ডিসপ্লে। খুবি প্রিমিয়াম একটা লুক এবং দারুন ব্রাইটনেস রয়েছে। এটির পিছনে প্লাস্টিক এবং ফ্রেম মেটালের। সত্যি এটি থেকতে দারুণ লাগে।
  • স্মার্টওয়াচে যে ধরনের পিচার থাকে সবকিছুই এতে বিদ্যমান রয়েছে। যেমন – প্যাডোমিটার, হার্ট রেট সেন্সর, ব্লাড পেসার মনিটর, স্লিপ মনিটর ইত্যাদি ইত্যাদি। যদিওবা এর সঠিক তথ্য দেওয়া নিয়ে একটু কনফিউশান হতে পারে।কারন এক চিপ রেটে এগুলো কখনোই সঠিক হতে পারে না।
  • এটি দ্বারা আপনার মোবাইলের ক্যামেরা কন্ট্রোল করতে পারবেন। অর্থাৎ আপনি চাইলে দূরে কোন জায়গায় মোবাইল সেট করে আপনার ঘড়ি দ্বারা ক্যামেরা দ্বারা ছবি বা বিডিও করতে পারেন।
  • আবার এটি দ্বারা আপনি চাইলে আপনার মিউজিক প্লেয়ারটাও কন্ট্রোল করতে পারেন।যাতে আপনি দূর থেকেও আপরি আপনার গান চেন্জ করতে পারেন।
  • এটির অনেক ভালো একটা দিক হল এটিতে পানি খাওয়ার রিমাইন্ডার রয়েছে।এতে করে আপনি কখন পানি খাবেন বা খাওয়ার প্রয়োজন সেটি এই স্মার্টওয়াচ রিমাইন্ড করে দিবে।এটি অনেক প্রিমিয়াম একটা পিচার।
  • এটিতে ডে লাইটেও বেশ ভালো ভিজিবিলিটি রয়েছে। তাই আপনি খুব ভালো একটা এক্সপেরিয়েন্স পাবেন।
  • এটিতে রয়েছে দারুন একটি চার্যার। এটিতে ম্যাগনেটিক চার্যার রয়েছে এতে করে আপনি চাইলে যাস্ট পিছন দিকে লাগিয়ে দিলেই যথেষ্ট। এরপর ইউএসবি ক্যাবেলে পাউয়ার সাপ্লাই দিলেই হয়ে যাবে।এটিও অনেক ভালো একটি উপায়। 
  • এর ব্যাটারি ব্যাকআপ তিন বা চার দিন পেয়ে যাবেন যেটি একটু সিলি হতে পারে।
  • এই স্মার্টওযাচটি Feed Cloud Pro নামক একটি অ্যাপ দ্বারা এটি কানেক্ট করতে পারেন। অ্যাপটির ইন্টারপেস খুব চমৎকার। তাই সহজে ব্যবহার যোগ্য হতে পারে।
  • যারা ঘড়ি হাতে নিয়ে পানিতে নামতে চান তাদের জন্য কোন চিন্তা নেই কারন এটি ১০০% ওয়াটারপ্রুফ। এইরকম সুবিধা অনেক দামি স্মার্টওয়াচেও পাওয়া যায় না।তাই এই ব্যাপারটা একটু খুশি করার মত।

 

যত ভালো প্রোডাক্ট হওক রা কেন সেটার কিছু খারাপ দিক রয়েছে।এবার আসি এর কোন ব্যাপারগুলো ভালো লাগে নাই অর্থাৎ এর খারাপ দিক কোনগুলি সেগুলো দেখে নেই –

 

  • এতে কোন কলিং সিস্টেম নেই। তাই এটি অনেক বড় আকারের স্পয়লার হতে পারে।কারন ২০২০ সালে এসে যদি স্মার্টওয়াচ ব্যবহার করতে হয় তাতে কলিং সিস্টেম না থাকলে ব্যাপারটা কেমন হয়।হ্যাঁ সত্যি ব্যাপারটন খুবই দুঃখজনক।তাই এই ব্যাপারটা যদি ইনক্লোড হত তাহলে এটি কোয়ালিটি আরেকটু বেড়ে যেতে পারে।
  • এর টাস রেসপন্স নিয়ে কথা বলা যাক।এতে যে টাস রেসপন্স রয়েছে এচমটি আপনাকে হতাশ করতে পারে।এটি এই স্মার্টওয়াচের সবচেয়ে বাজে দিক। কারন আপনি যদি স্মার্টওয়াচ কিনেন আর সেটিতে ভালো টাস স্ক্রিন না থাকলে ব্যাপারটা খারাপ দেখায়।
  • আগেই বলেছি এর ব্যাটারি ব্যাকআপ মাত্র ৩ দিন। এটি আরও একটু ভালো হলে ভালো হত। তাই এটির ব্যাটারি ব্যাকআপ অন্তক ৫ দিন হলে ঠিক হত।তাই এটিও একটু হতাশ হতে পারে।

 

NO.1 DTX এর দাম কত?

 

আগেই বলে রেখেছি এই স্মার্টওয়াচের দাম খুবই চিপ রেইট হবে। তাই এটির দাম নিয়ে আপনার চিন্তা করার কোন দরকার নেই।এটির বর্তমান বাজার মূল্য ১৭৫০ টাকা।তবে বাজারের বিভিন্ন দোকানে ১৮০০ নিতে পারে।তাই বলাই যায় এটি অনেক চিপ রেইটেই পাওয়া যাচ্ছে।

 

আপনার যদি কম বাজেটে সেরা একটি স্মার্টওয়াচ প্রয়োজন হয় তবে এটি হতে পারে সেরা একটি চয়েস।তাই আপনি চাইলে এটি কিনে দেখতে পারেন।

 

Related Articles

Back to top button