ইউটিউবিং শুরু করা আগে যে বিষয় গুলো যেনে নেওয়া উচিত
ইউটিউবিং শুরু করা আগে যে বিষয় গুলো যেনে নেওয়া উচিত
ইউটিউব শুরু করতে মন চায় না এমন লোক খুজে পাওয়া যায় না। অন্যের থেকে দেখে হুটহাট করে সিদ্ধান্ত নিয়ো পেলেন যে আমিও ইউটিউবে কাজ করতে পারি। ইউটিউব শুরু করার জন্য আপনার কিছু বিষয় অবগত থাকা জরুরি। অনেকের মাঝে এমনটা হয় যে তারা ইউটিউব নিয়ে কাজ করব করব করে ভাবছেন কিন্তু শুরু করছেন না আবার শুরু করলেও ভালো না লাগার কারনে বন্ধ করে দিয়েছেন তাদের জন্য খুব ভালো ভালো কিছু টিপস পেয়ে যাবেন।আবার অনেকের মাঝে অনেক ধরনের ভুল ধারনা নিয়ে থাকে যেমন অনেকে দেখা যায় ২০১৬ বা ২০১৭ সালের দিকে ইউটিউব চ্যানেল খুলেছে আর চিন্তা করে ২০২০ এসে মনিটাইজেশন করা কি সম্ভব? এক বছর তো পেরিয়ে গেল তাহলে কি মনিটাইজেশন পাওয়া যাবে না।এই রকমটা একদম সঠিক না আপনি চাইলে ঠিক যেদিন থেকে ইউটিউবে রেগুলার বিডিও করে থাকেন আর রেগুলার কাজ করবেন সেদিন থেকে একবছর কাউন্ট করা হবে। তাই আপনার এই ধরনের চিন্তা করা কখনোই করা উচিৎ নয়। তো এখন এমন কিছু টিপস সম্পর্কে বলব যেগুলো ২০২০ সালে এসে একটা ইউটিউব চ্যানেল খোলার ক্ষেত্রে অনেক প্রয়োজনীয় হতে পারে –
১. মোটিভেশন
একেবারে নতুন ইউটিউব চ্যানেল খুলার ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় যে জিনিসটা প্রয়োজন সেটা হল এই মোটিভেশন। এটা অনেক জরুরি একটা বিষয়। আপনি হয়ত আপনার বন্ধু বা পরিবার থেকে অনেক কথা শুনতে পারেন তখন আপনি ডদি তাদের কাছ থেকে কিছু কথা শুনে কাজ করা বন্ধ করে দেন তাহলে আপনার সামনে এগিয়ে যাওয়া কখনোই সম্ভব না।প্রথমদিকে কাররই সাপোর্ট পাবেন না।আপনাকে নিজেকে নিজের কথা শুনে লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে ঐ সময়টা। চাইলে আপনি মোটিভেশানল কিছু কথা স্পিচ শুনে নিতে পারেন যাতে আপনি কাজ করার আরও উৎসাহ পেতে পারেন। তাই মোটিভেশান খুব জরুরি একটা বিষয় নতুন ইউটিউবারদের কাছে।
২. বিডিও টপিক
আপনি কখনোই অন্যের থেকে দেখে যেকোন একটা বিষয় কাজ করা কখনোই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। আপনাকে এমন একটা নাম দিয়ে চ্যানেল তৈরি করতে হবে যাতে আপনি খুব সহজে অনেকগুলো টপিক নিয়ে কাজ করতে পারেন। আর নতুন ইউটিউবারদের ক্ষেত্রে দেখে যায় উত্তেজনার বসে ২/৩/৪/৫ টা বিডিও তৈরি করে পাবলিশ করেন কিন্তু কিছুদিন যাওয়ার পর দেখা গেল কাজ করার মত আর টপিক পাওয়া যাচ্ছে না। তাই আপরাকে ইউটিউবে কাজ করার পূর্বে এমন একটা ক্যাটাগরি বেচে নিবেন যাতে কাজ করতে বা কনটেন্ট তৈরি করতে কোন চিন্তা না করতে হয়। আপনি চাইলে অনায়াসে কাজ করতে পারেন আপনি যেটা ভালো বুঝেন বা যানেন সেটার উপর। তবে এমন কয়েকটা ক্যাটাগরি আছে যেগুলোর উপর লাইফ টাইম কাজ করতে পারেন। যেমন গেমিং ভিডিও বা কোন কিছু রিভিউ এর উপর কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন।
৩. রেগুলার বিডিও
এটি অনেক জরুরি একটন বিষয় ইউটিউবারদের কাছে।আপনি যদি রেগুলার বিডিও না করতে পারেন তবে আপনার চ্যানেল অনেক নিচে নেমে যেতে পারে। আপনি চাইলে একটা রুটিন করে নিতে পারেন যেমন এক সাপ্তাহে ২ বা ৩ টা বিডিও দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এতে করে একটা সিডিওল তৈরি হবে এবং এটি চ্যানেল দ্রুত গ্রো করার জন্য ভালো একটি উপায় হতে পারে।তাই আপনি নতুন ইউটিউবার হলে এটা খেয়াল রাখা উচিৎ।
৪. চ্যানেল কাস্টমাইজেশন
আপনি যদি একটি ইমেল দিয়ে শুধুমাত্র একটি চ্যানেল খুলেন তাহলে হবে না। প্রয়োজনে আপনি ইউটিউব থেকে দেখে সঠিক নিয়মে চ্যানেল খুলে ভালো করে সাজিয়ো গুছিয়ে নিবেন। যেমন লগু বা ব্যানার সুন্দর করে কাস্টমাইজেশ। এতে করে বিজিটরের কাছে আকর্ষনীয় হয়ে উঠবে। এটিও অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
৫. বুস্ট করা
আপনি আপনার চ্যানেলে যখন ৩০/৪০ বিডিও আপলোড করার পরও দেখলেন ঠিকমত গ্রো হচ্ছে না তখন আপনাকে একটু বুস্ট করে নিতে হবে।এতে করে একটু অরগানিক বিজিটর বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।আবার আপনার কনটেন্ট ভালো হয়ে থাকলে আপনি সহজে সাবসক্রাইবারও পেয়ে যাবেন।
নতুন ইউটিউবারদের সফল হওয়ার ক্ষেত্রে একটু সাহায্যে হিসেবে নেওয়া যায় উপরের টিপস সমূহকে। আশা করি এইগুলো মেনে যদি আপনি ইউটিউবিং করতে পারেন তাহলে আপনি দ্রুত সফল হতে পারেন।