টেক রিভিউ

৫ টি টিপস টিপস যেগুলো মোবাইল ফোন কিনার আগে জেনে নেওয়া উচিত 

৫ টি টিপস টিপস যেগুলো মোবাইল ফোন কিনার আগে জেনে নেওয়া উচিত 

 

মোবাইল ফোন কিনার জন্য আমাদের সকলকেই কোন না কোন দিন যেতে হয়েছে বা যাবেন। কিন্তুু মোবাইল ফোন কিনার সময় যদি একটু সতর্ক থাকেন তাহলে আপনি কোনদিন ঠকবেন না। তাই ভালো মোবাইল ফোন কিনতে আপনার দরকার সঠিক সিদ্ধান্ত। আর সঠিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আপনি যে কোন সময় যেকোন কাজ সঠিকভাবে করতে পারেন।

 

আপনি যদি ভালো সিদ্ধান্ত নিয়ে মোবাইল ফোন কিনতে হয় তবে আপনি সঠিক জায়গায় আসছেন। এখানে পেয়ে যাবেন মোবাইল ফোন কেনার ৫ টি গুরুত্বপূর্ণ টিপস। আপনার যদি মোবাইল ফোন সম্পর্কে কোন জ্ঞান না থাকে তাহলে এটি হতে পারে আপনার জন্য সেরা সুযোগ মোবাইল সম্পর্কে যেনে নেওয়া। 

 

আপনি যখন মোবাইল ফোন কিনতে যাবেন

বাজারে অনেক আসল নকল, অফিশিয়াল আনঅফিশিয়াল অনেক প্রকারের মোবাইল আসে বা পাওয়া। সেই সব মোবাইল থেকে কিভাবে বুঝতে পারবেন আপনার জন্য কোনটি প্রয়োজন। সেটি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ৫ টি টিপস দেওয়া হল –

 

১. পারপরমেন্স (Performance) 

 

একটি নতুন ফোন কিনার আগে অবশ্যই আপনাকে এর পারপরমেন্স চেক করে অথবা বুঝে নিতে হবে। আপনি যখন একটা নতুন ফোন কিনবেন তখন সেটিকে আপনার কাছে খুব ভালো লাগবে । কিন্তু কিছুদিন যাওযার পর আপনার কাছে আর ভালো নাও লাগতে পারে। এটির অন্যতম প্রধান কারন হলো মোবাইলের মোবাইল দিন দিন খারাপের দিকে হতে চলছে। অর্থাৎ সেটি হ্যাং করা বা এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। তাই আপনাকে অবশ্যই নতুন কিনা মোবাইলটির পারমেন্সের দিকে খেয়াল করতে হবে।

 

মোবাইলের বুঝতে ৩ টি ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে।

 

  1. i) প্রসেসর 

অনেক প্রকারের প্রসেসর পাওয়া যায় আজ-কালকার মোবাইল ফোনগুলো তে। সেগুলোর মধ্যে জনপ্রিয় কিছু প্রসেসর হল Qualcom snapdragon, Mediatek helio, Apple bionic। তবে আপনি যদি কম বাজেটের মোবাইল ফোন কিনতে চান তবে অবশ্যই কোয়ালকম এর প্রসেসর নেওযার। 

 

  1. ii) স্টোরেজ 

স্টোরেজ অনেক রকমের হয় সেটা আমরা সবাই জানি। ২,৪,৮,১৬,৩২,৬৪,১২৮,২৫৬ জিবি পাওয়া যায় মোবাইল ফোন গুলো। তবে এখানে আপনি যে ধরনের স্টোরেজ কিনেন না কেন সেগুলোর টাইপের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। বর্তমানে স্টোরেজ গুলোতে বেশি ব্যবহৃত হয় UFS 3 ভার্সন সেখানে আপনি যদি UFS 2 বা UFS 2.1 এই সব ব্যবহার করেন তাহলে সেটি স্লো হবে। আবার আপকামিং UFS 3.1 টাইপের স্টোরেজ যদি থাকে সেটি হবে সবচেয়ে ফাস্ট।

 

iii) র‌্যম

র‌্যম অনেক দরকারী জিনিস। অনেকে এটি সম্পর্কে তেমন কিছু বুঝে না তারা মনে করে যত জিবি র‌্যম তত ভালো। কিন্তু যদি খারাপ কোয়ালিটির বেশি জিবি র‌্যম ব্যবহার করেন তাহলে কোন লাভ নেই। একটি উদাহরণ দিই, উদাহারন হবে LP-DDR 3 এবং LP-DDR 5 এর মধ্যে।

 

একটা ৮ জিবি র‌্যমে LP-DDR 3 টাইপের তাহলে সেটির স্পীড হবে ৮×১০৬৬ =৮৫২৮ mbs। 

 

আবার ২ জিবি র‌্যমের LP-DDR 5 টাইপের হলে সেটির স্পীড হবে ২× ৬৪০০ =১২৮০০ mbs। [ এটি আইফোনে দেওয়া হয় এই কারনে আইফোনের র‌্যম এত শক্তিশালী ]

 

২। ক্যমেরা (Camera)

 

আজকালকার মোবাইল ফোনে ৩ টা ৪ টা ক্যমেরা ব্যবহার করে অনেক বেশি ফিক্সেল দিয়ে সবাইকে পাগল করে দেয়। কিন্তু আপনাকে যেটি জানতে হবে সেটি হল ক্যমেরা সেন্সর, যেই ক্যামেরার সেন্সর যত বড় তত ভালো ক্যামেরা এবং যেই ক্যামেরা ছবি একটু বেশি সার্ফনেস দেখায় সেগুলো এড়িয়ে চলা উচিৎ। 

 

৩। ব্যাটারি (Battery) 

 

ব্যাটারির ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই একটি বেশি mAh এর ব্যাটারি নিতে। কারন আজকালকার মোবাইলের ডিসপ্লে অনেক বড় হয় এছাড়াও অনেক ভারি ভারি অ্যাপস থাকে তাই আপনার উচিৎ ৪০০০-৫০০০ mAh এর ব্যাটারি দেখে মোবাইল কিনা এবং সাথে ১৫-২০ w এর চার্জার।

 

৪। ডিসপ্লে (Display)

 

ডিসপ্লে এর ক্ষেত্রে প্রথমত আপনাকে জানতে হবে আপনি এক হাত দিয়ে ব্যবহার করবেন না দুইহাক দিয়ে। এক হাতে বেশি ব্যবহার করলে ৬ ইঞ্চি যথেষ্ট আর দুইহাত দ্বারা বেশি ব্যবহার করলে এর থেকে বড়ও নেওয়া যায়।

দ্বিতীয়ত আপনি যদি রাতের দিকে বেশি মোবাইল ব্যবহার করেন তাহলে৷ Amulate ডিসপ্লে নেওয়া দরকার। আবার যদি বেশি বেশি কনটেন্ট, ইউটিউব, গেম এইসব করেন তবে HDR ডিসপ্লে নেওয়া উচিত। 

আবার ডিসপ্লে এর ব্রাইটনেস একেবারে বেশি এবং একেবারে কম কোনটাই হওয়া উচিত না।

 

৫। অপারেটিং সিস্টেম (Operating system) 

 

অফারেটিং সিস্টেম অনেক দরকারি একটা ব্যাপার। শাওমি বা ওপো ফোন গুলোতে এনড্রোয়েড থাকে না তাই একটা ইউ আই এ সরাবছর ব্যবহার করে এখন অন্য আরেকটায় চলে গেলে ব্যপারটা ভালো হয় না। দেখা গেছে অনেকে এন্ড্রোয়েড এর অফারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে এপেলের আইওএস এসে থীতু হতে পারে না।

 

উপরের কথা গুলো যদি আপনি মনে রাখতে পারেন তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনা জন্য ফোন বাছাই করা কোনটি আপনার প্রয়োজন সেটি সম্পর্কে ধারনা পেতে পারেন।

 

Related Articles

Back to top button